গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিন প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। এতদিন ইসরায়েলের বিপক্ষে শুধুমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে ফিলিস্তিন। ওই দিনই প্রথমবারের মতো আগে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের এই প্রতিরোধ গোষ্ঠী। ২০২১ সালের জুন মাসের যুদ্ধবিরতির পর প্রায় ২ বছর ধরে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা শেষে এই হামলা চালায় হামাস।
অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তিতে সজ্জিত ইসরায়েলের সীমান্ত দেয়াল তথা ‘স্মার্ট ফেন্স’-কে ফাঁকি দিয়ে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এই হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়ে ইসরায়েল। প্রথমে বুঝেই উঠতে পারেনি কীভাবে হামাস যোদ্ধাদের সামাল দেবে তারা। আর সে কারণেই মূলত তারা হামাসকে আর কোনো সুযোগ দিতে চায় না।
হামাসের অতর্কিত হামলায় তিন শতাধিক ইসরায়েলি সেনাসহ মোট এক হাজার চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়। আহত হয় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ।তাই গাজায় এখন ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর করলে হামাস উপকৃত হবে বলে সতর্ক করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সতর্কতা উচ্চারণ করেন।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুদ্ধবিরতি হামাসকে বিশ্রামের সুযোগ দেবে, পুনরায় গুছিয়ে ওঠার সুযোগ দেবে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ার ক্ষমতা দেবে।
তিনি আরো বলেন, আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারেন কেন এটি ইসরায়েলের জন্য অসহনীয় পরিস্থিতি। এ ধরনের নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার শিকার যেকোনো দেশের জন্য একটি অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি করবে এবং যে দেশ তার সীমান্তে অব্যাহত সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মুখে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আলাদাভাবে গাজায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করছে উল্লেখ করে ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এ ক্ষেত্রে তাদের প্রতিনিধি ডেভিড স্যাটারফিল্ড ‘নিবিড়ভাবে’ কাজ করছেন। সূত্র: ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট
বিডি প্রতিদিন/আজাদ