ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সদস্য দেশগুলোর নিজস্ব পরমাণু অস্ত্র থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসকা ফিশার। সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করেন, আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক যদি ঠাণ্ডা থাকে তাহলে এই জোট নিজের কাজে অটল থাকতে সক্ষম হবে।
গত রবিবার প্রকাশিত ডাই জেইটের সাথে এক সাক্ষাত্কারে জোসকা ফিশার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “ইউক্রেনে রাশিয়ার পদক্ষেপের আলোকে আমাদের যুদ্ধ-সক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে হবে।" তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনের চলমান সংঘাত ইউরোপ মহাদেশের ভবিষ্যতের জন্য "অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ" এবং ইউরোপ মস্কোকে বিজয়ী হতে দিতে পারে না।
জার্মানির হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকা উচিত কিনা- এমন প্রশ্নে গ্রিন পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জোসকা ফিশার নেতিবাচক জবাব দিয়ে বলেন, জার্মানির নয় বরং এই অস্ত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের হওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন, ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের পারমাণবিক অস্ত্রাগার এখন আর যথেষ্ট নয়।
গত মাসে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট পেত্র পাভেল বলেছিলেন, ন্যাটো জোট রাশিয়াকে সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটটি যখন বড় সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর বের হয়েছে তখন তিনি এই মন্তব্য করেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, তারা ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণকে দেশের নিরাপত্তার সীমা লঙ্ঘন হিসেবে দেখেন।
সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক