দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান ইন্টার্ন ও আবাসিক চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ইস্তফা না দিলে তাদের গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছে দেশটির সরকার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুনরায় কাজে না ফিরলে চিকিৎসকদের মেডিকেল লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির প্রায় তিন চতুর্থাংশ ইন্টার্ন চিকিৎসক গত সপ্তাহে ধর্মঘট শুরু করেন। এতে মারাত্মভাবে হুমকির মুখে পড়েছে দেশটির চিকিৎসা খাত। বড় বড় হাসপাতালগুলো চিকিৎসকশূন্য হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ইউনিট। ব্যাহত হচ্ছে অস্ত্রোপচার সেবা। চিকিৎসকদের আন্দোলনের ফলে তাদের কাজ নার্সদের দিয়ে করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতি বছর নতুন চিকিৎসক নিয়োগের ফলে চিকিৎসকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কায় প্রতিবাদে নেমেছেন দেশটির কয়েক হাজার ইন্টার্ন এবং আবাসিক চিকিৎসক। গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুসারে প্রায় ৭০ শতাংশ তরুণ চিকিৎসক গত সপ্তাহ থেকে আন্দোলন করছেন।
সরকারি তথ্যমতে, উন্নত দেশগুলোর তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়ায় রোগীর অনুপাতে চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক কম। তাই চিকিৎসকদের এ ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আশঙ্কা দ্রুত এ ঘাটতি পূরণ না হলে আগামী এক দশকের মধ্যে তীব্র চিকিৎসক সংকটে পড়বে এশিয়ার এই দেশ। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/আজাদ