মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে হামাস। প্রস্তাবে প্রথম দফায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধ জিম্মিদের ছাড়ার বিনিময়ে ৭০০ থেকে ১০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি চেয়েছে হামাস। এর মধ্যে প্রায় ১০০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানির কাছ থেকে লিখিত সাড়া পেয়েছেন।”
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, “হামাস তাদের ভিত্তিহীন বিভিন্ন দাবি নিয়ে নিজেদের শক্তিশালী করে চলেছে।”
নেতানিয়াহুর কার্যালয় আরও বলেছে, “আশা করা হচ্ছে, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করা হবে।”
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্তব্য সত্ত্বেও ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কান টিভি নিউজ জানায়, “নথিতে দাবিগুলোর একটি তালিকা রয়েছে যা ইসরায়েল ‘যুক্তিসঙ্গত’ বলে মনে করে।”
হামাসের দেওয়া এক বিবৃতিতে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছে। যার মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, জেরুজালেম পোস্ট, সিনহুয়া, অ্যাক্সিওস
বিডি প্রতিদিন/আজাদ