হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ সব আরোহী। এ ঘটনায় দেশটিতে পাঁচ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় অন্যান্যদের মধ্যে মারা যাওয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানকে ইরানের শাসন ব্যবস্থার ‘বিশ্বস্ত ব্যক্তি’ বলে বিবেচনা করা হতো।
তিনিই ছিলেন প্রথম ইরানি কর্মকর্তা যাকে ইরান, ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রকাশ্য ত্রিপক্ষীয় সমঝোতায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
তেহরানে ব্রিটিশ অ্যাম্বাসি চালুর পর প্রথম উচ্চ পদস্থ ব্যক্তি হিসেবে তিনি লন্ডন সফর করেন এবং তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
রিভ্যুলশনারি গার্ডসের সাথে হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে জেনারেল কাসেম সোলেইমানির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তার। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রক্সি গ্রুপগুলোর সাথেও যোগাযোগ রাখতেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় তাদেরকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে দুর্ঘটনার শিকার হয়। তবে ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকালে তাদের মৃত্যুর খবর জানায় ‘তেহরান টাইমস ও মেহের নিউজ’সহ স্থানীয় আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে একই হেলিকপ্টারে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আব্দুল্লাহিয়ান। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন সেটিতে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, এই হেলিকপ্টারে পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি ও এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেমও ছিলেন। এছাড়াও অন্যদের মধ্যে প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষী দলের সদস্য মাহদি মুসাভি, হেলিকপ্টারের পাইলট, সহকারী পাইলট ও ক্রু সদস্য ছিলেন।
সূত্র : বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত