কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল ও হামাসকে গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধে আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
তারা ইসরায়েল ও হামাসকে ১৫ আগস্ট দোহা বা কায়রোতে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে বাকি সব বিষয় দ্রুত সমাধান করে যুদ্ধবিরতির চুক্তি বাস্তবায়ন করা যায়। যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের রাষ্ট্রপ্রধানরা বলেছেন, এখনই এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন করার সময় এবং বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার প্রয়োজন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস দ্রুত এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে জানিয়েছে, তারা পরবর্তী সপ্তাহে আলোচনায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে। তবে হামাস এখনও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
গাজার পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ডের পর। এই হত্যাকাণ্ডকে অনেকেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারের একটি চেষ্টার অংশ হিসেবে দেখছেন। হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে যাতে যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যাহত হয়।
আল জাজিরার সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর ধৈর্য শেষ হয়ে আসছে এবং তাদের বিশ্বাস, এবার একটি কার্যকরী যুদ্ধবিরতির জন্য উপযুক্ত কাঠামো তৈরি হয়েছে। তবে এখনো অনেক বিষয় স্পষ্ট নয়, যেমন কোন ফিলিস্তিনি বন্দীরা মুক্তি পাবে এবং প্রথম ধাপে কতজনকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এই যৌথ বিবৃতিকে মধ্যপ্রাচ্যে বড় আকারের সংঘাত প্রতিরোধে একটি জরুরি আহ্বান হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনো অনেক কাজ বাকি এবং এই বিবৃতিটি এখনো চূড়ান্ত সমাধানের দিকে নিয়ে যাচ্ছে না।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল