নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ন্যায় বিচার চেয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ছে ডাক্তারদের মধ্যে। পথে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলি। হাত মিলিয়েছে সাধারণ মানুষও।
ইতোমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন আরজিকরের প্রিন্সিপাল ডা: সন্দীপ ঘোষ। কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার চলে গিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। দায়িত্ব পেয়ে তারাও তদন্তে নেমে পড়েছে।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদি বলেন, ‘দেশ বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং মহাকাশ খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের নেতৃত্ব প্রত্যক্ষ করছে। কিন্তু কিছু উদ্বেগজনক ঘটনাও আছে। আমি আজ লাল কেল্লা থেকে আমার ব্যথা প্রকাশ করতে চাই। সমাজ হিসেবে আমাদের গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে।"
মোদি বলেন, ‘আমাদের মা-বোনদের উপর হওয়া নৃশংসতার বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ রয়েছে। আমি এই ক্ষোভ অনুভব করছি। দেশ, সমাজ, আমাদের রাজ্য সরকারগুলিকে এটিকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নারীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধের তদন্ত করা উচিত, যারা পৈশাচিক কাজের সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই হওয়া উচিত। শীঘ্রই কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হওয়া, সমাজে বিশ্বাস তৈরি করার জন্য এটি প্রয়োজনীয়।’
মোদি পরিষ্কারভাবেই কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ৩১ বছর বয়সী নারী চিকিৎসকের কথা উল্লেখ।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল