উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। উত্তর কোরিয়ার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছাবার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।
রাশিয়ার এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বলেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার জনগণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে যে বন্ধুত্ব রয়েছে, তা এক অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে রক্তাক্ত লড়াইয়ের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। আমরা এই বন্ধনকে আরও বিস্তৃত সহযোগিতা ও অজেয় কমরেডশিপে পরিণত করতে চাই।
গত সেপ্টেম্বরে কিম জং উনের মস্কো সফর এবং পরবর্তীতে জুন মাসে পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। সেই সময় দুই দেশের নেতারা ‘বিস্তারিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এদিকে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন, এবং দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে, পিয়ংইয়ং নিয়মিত রাশিয়াকে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে। এই অভিযোগের মধ্যেই কিম জং উনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পুতিন, যা দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে।
উল্লেখ্য, কোরিয়া একসময় জাপানের উপনিবেশ ছিল। দীর্ঘ ৩৫ বছরের যুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালে কোরিয়া স্বাধীনতা লাভ করে এবং উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। স্বাধীনতার সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন কোরিয়াকে সামরিক ও রসদ দিয়ে সহায়তা করেছিল। স্বাধীনতার পর উত্তর কোরিয়া সোভিয়েত ব্লকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে, আর দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রতা গড়ে তোলে।
প্রতিবছর উত্তর কোরিয়ার স্বাধীনতা দিবসে, যেসব রুশ সেনা স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে কিম জং উন সেই কবরস্থানে যান। এবছরও তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল