জাপান তাদের আকাশসীমায় চীনের সামরিক বিমানের অভূতপূর্ব অনুপ্রবেশকে ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এটাকে দেশের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে দেশটি।
খবরে বলা হয়েছে, পূর্ব চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ দ্বীপগুলোর কাছাকাছি চীনের বারবারের সামুদ্রিক উসকানির পর এই আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
জাপানের প্রধান মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি মঙ্গলবার বলেন, ‘চীনের সামরিক বিমানের দ্বারা আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন শুধু আমাদের সার্বভৌমত্বের গুরুতর লঙ্ঘন নয়, বরং এটি আমাদের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি এবং এটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এটি প্রথমবারের মতো নিশ্চিতভাবে চীনা সামরিক বিমানের আকাশসীমা লঙ্ঘন। চীনের সাম্প্রতিক সামরিক কার্যক্রম সম্পর্কে হায়াশি বলেন, ‘এগুলি ক্রমশ বাড়ছে এবং আরও সক্রিয় হচ্ছে।’
সোমবার দুপুর ১১টা ২৯ মিনিটে একটি Y-9 নজরদারি বিমান প্রায় দুই মিনিটের জন্য জাপানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে বলে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বিমানটি নাগাসাকি প্রদেশের দানজো দ্বীপের উপকূলবর্তী আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় জাপান তৎক্ষণাৎ জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিমান পাঠায়।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটিকে সতর্ক করা হয়েছে, তবে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। চীনা বিমানটি জাপানের আকাশসীমায় প্রবেশের আগে এবং পরে একাধিকবার দ্বীপগুলোর দক্ষিণ-পূর্বের জলসীমার ওপর চক্কর দেয় এবং শেষ পর্যন্ত বিকাল ১টা ১৫ মিনিটে চীনের দিকে ফিরে যায়।
এ ঘটনার পরপরই জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসাতাকা ওকানো চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে ‘কঠিন প্রতিবাদ’ জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল