জাপানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে চীনের সামরিক বিমানের।
জাপান মঙ্গলবার এই অভিযোগ করেছে। দেশটি বলেছে, চীনের সামরিক বিমান যেভাবে তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, তা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না।
জাপানের সরকারি মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি সাংবাদিকদের জানান, সোমবার চীনের সামরিক বিমানের আকাশসীমা লঙ্ঘনকে জাপানের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপদ বলেই দেখা হচ্ছে।
চীনের যুদ্ধবিমান নিয়ে যা জানা গেছে
টোকিও জানিয়েছে, চীনের ওয়াই ৯ নজরদারি বিমান দুই মিনিটের জন্য তাদের আসাশসীমায় ছিল। তারা ফাইটার জেটগুলোকে প্রস্তুত করছিলেন। নাগাসাকি এলাকায় ড্যানজো দ্বীপের উপর দিয়ে চীনের বিমান উড়ে যায়।
হায়াশি বলেছেন, “আমরা বিমানসীমা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর এই প্রথম চীনের সামরিক বিমান আমাদের আকাশসীমা লংঘন করল।”
তিনি জানিয়েছেন, “জাপানের কাছে চীনা সামরিক কার্যকলাপ বেড়ে গেছে, সরকার এটা খতিয়ে দেখছে। আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে জাপান প্রস্তুত।”
চীনা কূটনীতিককে ডেকে পাঠানো হলো
প্রতিবাদ জানানোর জন্য টোকিওতে চীনা দূতাবাসের কূটনীতিকদের ডেকে পাঠায় জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু কূটনৈতিক স্তরে কী কথা হয়েছে, তা হায়াশি জানাননি।
তিনি বলেছেন, “আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলব না। শুধু এটুকু বলতে পারি, জাপানের কাছে চীনের সামরিক কার্যকলাপ সম্প্রতি বেড়ে গেছে। তারা ক্রমশ আরও বেশি করে সক্রিয় হয়ে উঠছে।”
জাপানের সরকারি ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছে, ২০১২ সালে চীনের একটি বিমান জাপানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। ২০১৭ সালে চীনের কোস্ট গার্ডের একটি ড্রোন জাপানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে
বিডি প্রতিদিন/একেএ