গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি তাণ্ডবে আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় প্রতিদিন অন্তত ৫৩ শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এই সময়ে দৈনিক গড়ে ৭২ জন ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ প্রাণ হারিয়েছেন দখলদারদের হামলায়। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ১০ হাজার গাজাবাসী।
ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবির এবং দেইর আল বালায় বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে দুই শিশু এবং এক নারী নিহত হয়েছে।
নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলার পর দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং দেইর আল বালা থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত জাতিসংঘের মিশন সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছে, জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে গাজায় সহায়তা কার্যক্রম এবং কর্মীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে পোলিওর প্রাদুর্ভাব বন্ধ করার জন্য ভ্যাকসিন কার্যক্রম জরুরিভাবে প্রয়োজন বলেও জানানো হয়।
সম্প্রতি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) একটি গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ‘জাতিসংঘের মানবিক কনভয়’ স্পষ্টভাবে লেখা থাকার পরেও ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ১০ বার ওই গাড়িতে গুলি চালিয়েছে। ফলে গাজায় নিজেদের স্টাফদের চলাচল স্থগিত করেছে ডব্লিউএফপি।
গত ৭ অক্টোবর থেকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ৪০ হাজার ৬০২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৩ হাজার ৮৫৫ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ