সহিংস সংঘর্ষের জেরে আরও একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের মণিপুর রাজ্যের পরিস্থিতি। গত কয়েকদিনে দফায় দফায় গুলি বিনিময়, বোমা বিস্ফোরণ, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা, বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু, মণিপুর রাইফেলসের দু’টি ব্যাটেলিয়নের অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্রশস্ত্র লুটের চেষ্টা-সহ একাধিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অবস্থা সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। খবর বিবিসির।
রাজ্যটির রাজধানী ইম্ফলের পরিস্থিতি সোমবারও উত্তপ্ত ছিল। কুকিরা কোতুর্ক নামে একটি গ্রামে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে সেখান গাড়িসহ বেশ কিছু অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল।
শান্তি ফেরানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদে নেমেছেন বহু মানুষ। রোববার রাতে বিপুল সংখ্যক নারী ইম্ফলে রাস্তায় নামেন। রাজ্যে শান্তি ফেরানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তারা।
কুকি বিদ্রোহীরা বিষ্ণুপুরের দুটি আবাসিক এলাকায় দূরপাল্লার রকেট মোতায়েন করে রেখেছে। বিষ্ণুপুরে ড্রোন হামলায় আরকে রাবিই নামের ৭৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন।
যেসব কুকি বিদ্রোহী হামলা চালাচ্ছে, তারা পাহাড়ি অঞ্চলে আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় অন্তত তিনটি বাঙ্কার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানকার পুলিশের আইজি, ডিআইজি কাজ করছেন। বিদ্রোহীদের দমনে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তারা।
মণিপুরে যখন বিদ্রোহীদের দমনে সেখানকার প্রশাসন ব্যস্ত, তখনই রাজ্যটির রাজধানীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় পুলিশ ফোর্সের একটি গাড়িকে ধাওয়া দিচ্ছেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে সেখানে তারা সাতরঙা পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ