যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে আজ ১০ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো সরাসরি টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই বিতর্ক ভোটারদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি উভয় প্রার্থীর জন্য নতুন করে নিজেদের নীতিগত অবস্থান ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
ভোটারদের প্রত্যাশা:
রবার্ট অলিভার, ২৭ বছর বয়সী উটাহের একজন তরুণ, যিনি ২০২০ সালে জো বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন, এবার ট্রাম্পের পক্ষে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তিনি বলেন, "আমি দেখতে চাই, কমলা হ্যারিস কতটা দক্ষভাবে ট্রাম্পের মুখোমুখি হতে পারেন। ট্রাম্প বিতর্কে স্বাভাবিকভাবেই আক্রমণাত্মক থাকেন।" তিনি কমলার প্রম্পটার ছাড়াই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখতে চান।
ড্যানিয়েল ক্রামরিন, কলোরাডোর ২৮ বছরের এক ভোটার, আগ্রহী হয়ে আছেন কমলা-ট্রাম্প বিতর্ক দেখার জন্য। তিনি মনে করেন, "কমলা হ্যারিস অত্যন্ত দক্ষ বিতার্কিক, এবং তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে সক্ষম হবেন।" তিনি আশা করছেন, কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কৌশল মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন।
জেসি মাজ্জোনি, পেনসিলভানিয়ার স্বতন্ত্র ভোটার, বিতর্ক নিয়ে খুব একটা আগ্রহী নন। তিনি মনে করেন, বিতর্কগুলো সাধারণত চিৎকার-চেঁচামেচি ও কৌতুক কেন্দ্রিক হয়ে থাকে, যা সংবাদের শিরোনাম তৈরি করে, কিন্তু ভোটারদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে না।
মিস্টি ড্যানিস, ক্যালিফোর্নিয়ার একজন ট্রাম্প সমর্থক, দুই প্রার্থীর কাছ থেকে নীতিনির্ধারণী বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য আশা করেন। তিনি চান, বিতর্কটি একটি চাকরির সাক্ষাৎকারের মতো হোক, যেখানে প্রতিটি প্রার্থী নিজেদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরবেন।
কনোর লোগান, ২০২০ সালের ট্রাম্প সমর্থক, অর্থনীতি ও অভিবাসন বিষয়ে প্রার্থীদের স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা শুনতে চান। যদিও তিনি ট্রাম্পের কর্মদক্ষতা নিয়ে সন্তুষ্ট, তবু ট্রাম্পের আচরণকে তার দুর্বলতা মনে করেন।
ফেলিসিটি ফিলগেট, নিউ হ্যাম্পশায়ারের একজন স্বতন্ত্র ভোটার, বিতর্কে প্রার্থীদের পারস্পরিক আক্রমণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি আশা করছেন, প্রার্থীরা এবার নীতিগত প্রশ্নের উত্তর দেবেন এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ এড়িয়ে যাবেন।
ডগলাস স্টুয়ার্ট, জর্জিয়ার ডেমোক্র্যাট, বাইডেনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এবং মনে করছেন, কমলা হ্যারিসের মাধ্যমে ডেমোক্র্যাটিক দল ট্রাম্পের বিপক্ষে ভালো লড়াই করবে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত বিষয় নিয়ে কমলা হ্যারিসের অবস্থান জানতে আগ্রহী।
আজকের বিতর্কে ভোটাররা প্রার্থীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত আক্রমণের বদলে নীতিগত আলোচনা দেখতে চান। তারা আশা করছেন, এই বিতর্কে দুই প্রার্থী নিজেদের পরিকল্পনা ও নীতিমালা পরিষ্কারভাবে তুলে ধরবেন, যাতে ভোটাররা সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল