শিরোনাম
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:০৪

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক অবস্থানে

অনলাইন ডেস্ক

 মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক অবস্থানে

গাজায় চলমান যুদ্ধে উত্তেজনা বাড়ার মধ্যে ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষ ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠেছে। লেবাননে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলকে কঠোর ‘সাজা’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। এর পরপরই ইসরায়েল হিজবুল্লাহর ওপর সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান যুদ্ধের পর থেকে নিয়মিত পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। সম্প্রতি লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় পেজার ও ওয়াকিটকির মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩৭ জনের মৃত্যু ও তিন হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন। এসব বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে নাসরুল্লাহ বলেন, ইসরায়েল সীমা অতিক্রম করেছে এবং এর জন্য উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা হিজবুল্লাহর প্রায় ১০০টি রকেট উৎক্ষেপণ ব্যবস্থায় হামলা চালিয়েছে। লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে অন্তত ৫২টি হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহও পাল্টা আক্রমণ করে ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর অন্তত ১৭টি হামলা চালিয়েছে।

লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে চারজন আহত হয়েছেন। তবে তারা হিজবুল্লাহ সদস্য কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি। এদিকে, আজ শুক্রবারও ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের তিনটি গ্রামে হামলা চালায়। হিজবুল্লাহ পরিচালিত আল–মানার টেলিভিশনে একটি হামলার ভিডিও প্রকাশিত হয়, যেখানে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাতের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শুক্রবার সকালে তারা জানায়, লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে তীব্র সংঘর্ষ চলছে এবং সংঘাত কমানোর জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বৃহস্পতিবার বলেন, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

এ সংঘাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা কূটনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের সুরক্ষা দিতে এবং প্রয়োজনে ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর