ইউক্রেনে গত আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৭০ হাজারেরও বেশি সেনা হারিয়েছে রুশ বাহিনী। তাদের মধ্যে ১৩ হাজার ৭৮১ জন স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধা রয়েছেন।
শুক্রবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এবং রুশ সংবাদমাধ্যম মিডিয়াজোনা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোতে নিয়মিত যুদ্ধের হালনাগাদ তথ্য এবং নিহত-আহত সেনাদের সংখ্যা, নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়। এছাড়া রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর সংঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তরও হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করে। যেসব গোরস্তানে সেনা সদস্যদের কবর দেওয়া হয়, সেখানেও নিহত রুশ সেনাদের নাম পরিচয় রয়েছে।
তথ্য সংগ্রহের জন্য এই তিনটি উৎসকেই ব্যবহার করেছে বিবিসি এবং মিডিয়াজোনা। এবং সংগৃহীত তথ্য যাচাই করতে নিহত সেনাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “আমাদের হিসেব অনুযায়ী, যুদ্ধে নিহত রুশ সেনাদের সংখ্যা ৭০ হাজার ১১২ জন। অর্থাৎ, এই সেনাদের নাম, পরিচয় এবং মৃত্যু সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি; তবে এটাও ঠিক যে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আমাদের হিসেবের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ অনেক নিহত সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা সংবাদমাধ্যমকে তথ্য জানাতে অপারগতা জানিয়েছেন। এছাড়া পূর্ব ইউক্রেনের দনেৎস্ক এবং লুহানস্কে রুশ বাহিনীর পক্ষে যারা লড়াই করছে, তাদের হতাহতের তথ্যও আমরা পাইনি।”
বিবিসি ও মিডিয়াজোনা যে ৭০ হাজার ১১২ জন নিহত রুশ সেনার নাম-পরিচয় সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৩ হাজার ৭৮১ জন স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধা। একসময় তারা বেসামরিক ছিলেন, তারপর রাষ্ট্রের আহ্বানে রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। শতকরা হিসেবে, গত আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত রুশ সেনাদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধাদের হার ১৩ শতাংশ।
স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধাদের বেশিরভাগই রাশিয়ার অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা বিভিন্ন শহর ও গ্রাম থেকে আসা। এসব এলাকায় সন্তোষজনক বেতনে কাজ পাওয়া কঠিন। তাই জীবন-জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে সেনা বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন তারা। এই স্বেচ্ছাসেবীদের প্রায় সবাই নিজের ইচ্ছায় বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।
এই স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধাদের অধিকাংশের বয়স ৪২ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। অনেকে অবশ্য তার চেয়েও বেশি বয়সী।
সূত্র : বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত