রাজধানী লন্ডনে চুরি, ছিনতাই, ছুরিকাঘাত কিংবা ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপরাধ হয়ে থাকে। এসব অপরাধের ডেটা বিশ্লেষণ করে লন্ডনের সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকা এবং সবচেয়ে কম বিপজ্জনক এলাকাগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। অনলাইন মার্কেটিং সার্জারি এবং ওয়েস্ট মিডল্যান্ড গ্যারেজ ডোরস যৌথভাবে ক্রাইমের ডেটা বিশ্লেষণ করে তালিকা করেছে।
এতে ২০২৪ সালের মার্চের আগের এক বছরে লন্ডনের শীর্ষ পাঁচটি সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং পাঁচটি কম বিপজ্জনক এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশ্লেষণে ওয়েস্টমিনস্টারকে লন্ডনের সবচেয়ে বিপজ্জনক বরো হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে প্রতি এক হাজার মানুষের মধ্যে অপরাধের হার ৪৪৬.৪ জন। এক বছরের ব্যবধানে এখানে ৮৪ হাজার ১৬টি অপরাধের রিপোর্ট করা হয়েছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্যামডেন। এখানে অপরাধের হার ওয়েস্টমিনস্টারের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। এই বরোতে প্রতি হাজারে ১৮৮ জন মানুষ নানা ধরনের অপরাধের টার্গেট হয়েছে। এক বছরে এই বরোতে ৩৬ হাজার ৬৫০টি ক্রাইম রিপোর্ট করা হয়েছে। তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে রয়েছে কেনসিংটন এবং চেলসি। ২০২৪ সালের মার্চে আগের এক বছরে অপরাধের হার প্রতি হাজারে ১৬৪.৫। চতুর্থ বিপজ্জনক এলাকার তালিকায় রয়েছে আইলিংটন। এখানে প্রতি হাজারে অপরাধের রেট ১৩০.২ জন। এছাড়া হ্যামারস্মিথ এবং ফুলহ্যাম যৌথভাবে পঞ্চম বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এখানে ক্রাইম রেট হাজারে ১২৫.৩ জন।
এছাড়া অন্যান্য বিপজ্জনক এলাকার মধ্যে রয়েছে হ্যাকনি, সাউথওয়ার্ক, ল্যাম্বেথ, টাওয়ার হ্যামলেটস এবং হ্যারিঙ্গি। এদিকে রিচমন্ড আপন টেমস লন্ডনের সবচেয়ে নিরাপদ বরো হিসাবে উঠে এসেছে। এখানে এক হাজার মানুষের মধ্যে ক্রাইম রেট ৬১.১। বছরে এখানে ১১ হাজার ৭৩৯টি অপরাধ রেকর্ড করা হয়েছে। সাটনের অপরাধের হার ৬২.৭, যা এই এলাকাকে দ্বিতীয় নিরাপদ স্থান করে তুলেছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে হ্যারো, চতুর্থ স্থানে মার্টন এবং পঞ্চম নিরাপদ স্থান হিসেবে বেক্সলের নাম উঠে এসেছে। এছাড়া অন্যান্য নিরাপদ জায়গা গুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রমলি, কিংস্টন অন টেমস, বার্নেট, রেডব্রিজ এবং হ্যাভরিং।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল