ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে সামরিক এবং আর্থিক সমর্থন জোরদারের লক্ষ্যে একটি সফর শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য তার ‘বিজয় পরিকল্পনা’ নিয়ে আলোচনা করা।
রাশিয়ার সাথে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটানোর কৌশল ও পরিকল্পনা সম্পর্কে জেলেনস্কি বলেন, এটি আমাদের নিরাপত্তা, অস্ত্র, এবং যুদ্ধ-পরবর্তী ভবিষ্যত শক্তিশালী করার জন্য মিত্রদের প্রতি একটি আহ্বান।
প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বৈঠকের আগে বলেন, এটি পরিকল্পনার বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগ।
এই সপ্তাহে জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য ইউক্রেন ডিফেন্স কন্টাক্ট গ্রুপের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হারিকেন মিল্টন নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
রাশিয়ার সাথে দীর্ঘায়িত যুদ্ধে ইউক্রেনের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে, ইউক্রেনের সংসদ বৃহস্পতিবার দেশের প্রথম বড় যুদ্ধকালীন কর বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে, যার লক্ষ্য ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ প্রতিরক্ষা খাতে প্রয়োজনীয় ১২ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা।
হোলস দলের সংসদ সদস্য ইয়ারোস্লাভ ঝেলেজনিয়াক জানিয়েছেন, ৪৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২৪৭ জন এই কর বৃদ্ধির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। নতুন আইন অনুযায়ী, বাসিন্দাদের জন্য যুদ্ধ কর ১.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়াও, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য কর বাড়ানো, ব্যাংকের লাভের ওপর ৫০ শতাংশ কর এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মুনাফার ওপর ২৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। এই আইন কার্যকর করতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অনুমোদন প্রয়োজন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল