রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা মনে করছেন, তাদের দেশ ইউক্রেন যুদ্ধের সর্বোচ্চ কঠিন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে দেশটির পারমাণবিক বাহিনী একটি বিশেষ মহড়া শুরু করেছে। এই মহড়াটি গত দুই সপ্তাহে পুতিনের আদেশে দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হলো। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি কীভাবে সামলাবে তা নিয়ে অনিশ্চিত।
সম্প্রতি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল সরবরাহের পরিকল্পনা করছে, যা রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। রাশিয়া স্পষ্ট জানিয়েছে, যদি পশ্চিমা সহযোগিতায় ইউক্রেন রাশিয়ার গভীরে হামলা চালায়, তবে দেশটির প্রতিরক্ষায় রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
সম্প্রতি মস্কোর পারমাণবিক নীতি নবায়ন করা হয়েছে। এই নীতি রাশিয়াকে অ-পরমাণু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ দেবে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটা একটা সতর্কবার্তা।
বৃহস্পতিবার পারমাণবিক মহড়ার সূচনা করে পুতিন বলেছেন, আমরা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের কার্যক্রম নিয়ে কাজ করব এবং এর জন্য ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি অত্যন্ত বিরল একটি পদক্ষেপ হবে, তবে এগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে।
এদিকে, ন্যাটো রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করেছে। কারণ, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ১০,০০০ সৈন্য প্রেরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র সাবরিনা সিং জানান, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে এই সৈন্যদের পাঠিয়েছে। তারা ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করে রুশ বাহিনীকে সাহায্য করতে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন উল্লেখ করেছেন, রাশিয়া তার প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নিজস্ব ক্ষমতার ভিত্তিতে গ্রহণ করবে এবং যদি ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেয়, তবে রাশিয়াও নিজস্ব কর্মসূচি অনুসরণ করতে স্বাধীন। সূত্র : এনডিটিভি
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল