ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক জামশিদ শারমাহদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় জার্মান সরকার ইরানের সব কনস্যুলেট বা বাণিজ্য দূতাবাস বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালিনা বেয়ারবক এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। খবর এএফপির।
জানা গেছে, জামশিদকে ইরানের ইসলামপন্থি শাসকদের উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটি, যদিও জামশিদ সবসময় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে জার্মান দেশটি তাদের কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে জামশিদের মৃত্যুদণ্ড রোধ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তেহরান তা উপেক্ষা করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বলেন, আমরা বারবার তেহরানকে সতর্ক করেছি যে জামশিদ শারমাহদের মৃত্যুদণ্ডের ফলাফল গুরুতর হবে; কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি। তাই আমাদের এ পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট, মিউনিখ এবং হামবুর্গে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটগুলো এখন থেকে বন্ধ থাকবে।
অপরদিকে জামশিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কয়েক দিন আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘশি জার্মানির প্রতি একটি বার্তা পাঠিয়ে বলেন, ‘জামশিদ একজন সন্ত্রাসী এবং তার নেতৃত্বে হওয়া হামলায় ১৪ জন নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার অপরাধের জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে এবং জার্মানির পাসপোর্ট তার দায়মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়।’
উল্লেখ্য, জামশিদ শারমাহদ ২০০৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন, তাকে ইরানে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা এবং সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ২০০৮ সালে ইরানের শিরাজ শহরের একটি মসজিদে হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যেখানে অনেক নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও জামশিদ তা অস্বীকার করেন।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের মতে, ৬৯ বছর বয়সী শারমাহদকে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ‘পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টির’ অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয় হয়। পরবর্তীতে ইরানি সুপ্রিম কোর্টও এ সাজা নিশ্চিত করেন। অভিযুক্ত ২০০৮ সালে সিরাজ শহরের একটি মসজিদে বোমা হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য দণ্ডিত হন, যেখানে ১৪ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শআ