অবশেষে গেল সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে পেজার আর ওয়াটকি বিস্ফোরণের জড়িত থাকার তথ্য সামনে আনলো ইহুদিবাদী দেশ ইসরায়েল। তখন লেবাননে একসঙ্গে প্রায় চার হাজার পেজারে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ইসরায়েল। এ ঘটনায় ৪০ জন নিহত ও ৩ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। ওই ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করে হিজবুল্লাহ ও ইরান। ইসরায়েল তখন এ নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও অবশেষে এ হামলার অনুমোদন দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। খবর সিএনএনের।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত পেজারের মাধ্যমে বিস্ফোরণের অনুমতি দিয়েছিলেন বলে জানালেন নেতানিয়াহু। ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মুখপাত্র ওমের দোস্ত্রি বলেন, ‘নেতানিয়াহু জানিয়েছেন তিনি পেজারকে নিশানা করে অপারেশন অনুমোদন করেছিলেন।’ চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে লেবানন। তাদের অভিযোগ, এটা মানবতার বিরুদ্ধে হামলা।
উল্লেখ্য, পেজার যোগাযোগের পুরোনো যন্ত্র। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি এড়াতে হিজুল্লাহর যোদ্ধারা এটি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতো। তবে এটির মাধ্যমেও বিস্ফোরণ হামলা চালায় ইসরায়েল। তবে শুধু লেবাননেই নয়, ইরানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আহমদ বখশায়েশ আরদেস্তানি দাবি করেছিলেন, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির কাছেও নাকি একটি পেজার ছিল! আর সেই খবর নাকি জানতো ইসরায়েল। তার ধারণা, রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করতে ইসরায়েল হয়ত তার ব্যবহৃত পেজারটিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল।
বিডি-প্রতিদিন/শআ