ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়তে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় সেনা পাঠিয়েছে। বিনিময়ে রাশিয়া বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করছে, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে ১০,০০০-এর বেশি সৈন্য সরবরাহ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কিম জং উন তার সৈন্যদের জন্য উন্নত প্রযুক্তি এবং যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাইছেন।
সিউলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিন ওন-সিক জানান, পিয়ংইয়ংয়ের দুর্বল বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে। এছাড়াও, উত্তর কোরিয়া অর্থনৈতিক সহায়তাসহ স্যাটেলাইট প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর কোরিয়া এই সহযোগিতার মাধ্যমে সামরিক প্রযুক্তি, নজরদারি স্যাটেলাইট এবং সাবমেরিন তৈরির প্রযুক্তি লাভ করার চেষ্টা করছে।
জুন মাসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তি অনুযায়ী, এক পক্ষ আক্রমণের শিকার হলে অপর পক্ষ তাৎক্ষণিক সামরিক সহায়তা দেবে।
রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার এই ঘনিষ্ঠতা বিশেষজ্ঞদের মতে, পিয়ংইয়ংয়ের পররাষ্ট্র নীতিতে নতুন মোড় এনেছে। চীনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রাশিয়ার সাথে সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে উত্তর কোরিয়া।
সম্প্রতি মস্কো সফরকালে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন হুই রাশিয়ার প্রতি দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানকে ‘পবিত্র সংগ্রাম’ আখ্যা দিয়ে পুতিনের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহে বিরত থাকলেও, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তাদের এই নীতিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল