শুক্রবারও ঘন ধোঁয়াশায় ঢাকা ছিল দিল্লির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তার সঙ্গে তাপমাত্রাও নামতে শুরু করেছে। শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে ধোঁয়াশার সঙ্গে শীতের কামড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে রাজধানীতে।
তবে দূষণের চিত্রটার খুব একটা উন্নতি হয়নি বৃহস্পতিবারের তুলনায়। আশার আলো এই যে, বাতাসের গুণগত মানের সূচক টানা আট দিন ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। তবে তাতেও বিপদ কাটছে না দিল্লিবাসীর। শুক্রবার দিল্লির বাতাসের গুণগত মানের সূচক ৩৭৩। তবে বেশ কয়েকটি জায়গায় আবার পরিস্থিতি ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) তথ্য বলছে।
সিপিসিবির শুক্রবারের তথ্য বলছে, চাঁদনি চকে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ৩৫৯, বিমানবন্দর এলাকায় ৩৫৭, আইটিও মোড়ে ৩৪৪, আরকে পুরমে ৩৭২। তবে আনন্দ বিহার, বাওয়ানা, জাহাঙ্গিরপুরী, মুন্ডকা, নেহরু নগর, সোনিয়া বিহার, বিবেক বিহার, ওয়াজিরপুরে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই সব অঞ্চলে বাতাসের মানের সূচক ৪০০'র উপরে।
ইতোমধ্যেই যান চলাচলের উপর রাশ টেনেছে দিল্লি সরকার। দূষণের মাত্রা কম করতে ‘ওয়াটার গান’ দিয়ে পানি ছেটানো চলছে নিয়মিত। কিন্তু তার পরেও দূষণের ছবির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। দূষণ পরিস্থিতির জেরে শ্বাসকষ্ট, কাশির মতো উপসর্গও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল