২০২২ সালে রাশিয়ার সাথে সংঘাত শুরুর পর থেকে প্রায় দুই লাখ ইউক্রেনীয় সেনা ময়দান ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন এমপি। এর মধ্যে ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি সৈন্য যুদ্ধের ময়দান ছেড়েছেন বলে জানা গেছে। এ সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেনের অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ২০২২ ও ২০২৩ সাল মিলিয়ে যে সংখ্যক ইউক্রেনীয় সেনা যুদ্ধ–ময়দান ছেড়েছিলেন- চলতি ২০২৪ সালের প্রথম ১০ মাসে তারচেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি সেনা ময়দান ছেড়ে পালিয়েছেন। এতে করে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সংকট নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস (এফটি)।
সামরিক সদস্যরা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছে, রোটেশনের ভিত্তিতে মাত্র ৪ সপ্তাহের বিশ্রাম এবং পুরনায় ট্রেনিং নিতে যে সংখ্যক সেনা প্রয়োজন, তা বর্তমানে নেই ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীতে (ইউএএফ)। এফটিকে এক কর্মকর্তা বলেন, যারা যুদ্ধে মারা যাচ্ছেন, তাদের জায়গায় স্বল্প বা অপ্রশিক্ষিত, অযোগ্য শিক্ষানবিস দিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টা চলছে।
এর আগে, ইউক্রেনীয় কমান্ডাররা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, ফ্রন্টলাইনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে, এই নতুন নিয়োগ পাওয়া সেনাদের মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশই তাদের প্রথম রোটেশন শুরুর কয়েকদিনের নিহত বা আহত হয়েছেন। এছাড়া, ন্যাটো দেশগুলোতে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েও অনেকে পালিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পোলিশ নিরাপত্তা সূত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছে, প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ১২ জন ইউক্রেনীয় সেনা পোল্যান্ডে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় ট্রেনিংসেন্টার থেকে পালিয়ে গেছেন।
এদিকে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের অন্তত ৫ লাখ সেনা নিহত হয়েছেন। ব্যাপক এই ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ সেনা বর্তমানে যুদ্ধের ময়দানে সক্রিয় আছেন। সাম্প্রতিক মিডিয়া প্রতিবেদন এবং ইউক্রেনীয় আইনপ্রণেতাদের বরাত দিয়ে রুশ গণমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, অনিচ্ছুক লোকেদের রাস্তা, এমনকি নাইটক্লাব থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে সামরিক দায়িত্বে বসানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ