দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৭৯ জনই নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৮৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদের খোঁজ চলছে।
জানা যায়, উড়োজাহাজটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয় জন ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুই জন থাই নাগরিক ছিলেন। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, উড়োজাহাজের বেশিরভাগ আরোহী নিহত হয়েছেন। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মাত্র দুই যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, থাইল্যান্ড থেকে ফেরার সময় স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৯টার দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে জেজু এয়ারের ২২১৬ ফ্লাইটটি। ল্যান্ডিং গিয়ারে পাখি ঢুকে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া খারাপ আবহাওয়ার কারণেও উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হতে পারে। তবে তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কারণ বলা সম্ভব হচ্ছে না।
মুয়ান ফায়ার সার্ভিসের প্রধান লি জিয়ং-হিউন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, দমকল বাহিনীর ধারণা পাখির ধাক্কা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিমানের পেছনের অংশ অক্ষত দেখালেও এর বাকি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিও এবং ছবিতে দেখা গেছে, বিমানটি রানওয়েতে নামার পর প্রচণ্ড গতিতে ছুটে গিয়ে একটি দেয়ালে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। বিধ্বস্ত বিমানটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, উড়োজাহাজটিতে থাকা দু'জন বাদে সবাই নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক মুয়ান বিমানবন্দরে উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ