দিনাজপুরের বিরামপুর রেলস্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিতকরণসহ চারদফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। একইসঙ্গে এসব দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় বিরামপুর পেশাজীবী ঐক্য ফ্রন্টের উদ্যোগে রেলস্টেশন প্রাঙ্গণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ, পেশাজীবী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ প্ল্যাটফর্ম ও সড়কের দু’পাশে ভিড় করেন।
মানববন্ধনে চারটি দাবি তুলে ধরা হয়—
১. বিরামপুর রেলস্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি।
২. সকল আন্তঃনগর ট্রেনে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি।
৩. রেলস্টেশনে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন।
৪. ঝুঁকিপূর্ণ রেলগেটগুলোর সম্প্রসারণ।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন পেশাজীবী ঐক্য ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও ঢাকা মোড় টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দিনাজপুর–৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি ড. মুহাদ্দিস এনামুল হক, উপজেলা আমীর হাফিজুর রহমান, পৌর সেক্রেটারি শাহিন, যুবদলের সদস্য সচিব পলাশ বিন আশরাফী, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সানোয়ার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চল উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোজাম্মেল হক, পেশাজীবী ঐক্য ফ্রন্টের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক মানিক, বিরামপুর কলেজের সাবেক ভিপি সৈয়দ গোলাম মোরশেদসহ অনেকে।
বিরামপুর ছাড়া নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, পার্বতীপুর, হাকিমপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ মানববন্ধনে যোগ দেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরাও নিজেদের ব্যানার নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহণকারীরা রেলস্টেশনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দাবি–সংবলিত ব্যানার টাঙিয়ে দেন। পরে একটি প্রতিনিধি দল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সরকারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন