ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি। টানা পাঁচদিন ধরে দাবানলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো ছয়টি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলগুলোর একটি গতকাল শনিবার দিক পরিবর্তন করেছে। এতে নতুন করে ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে নতুন হুমকির মুখে পড়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
গত মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলেসে এই দাবানলের সূত্রপাত হয়। দাবানলে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঘরছাড়া হয়েছে লাখো মানুষ। পরিস্থিততি সামাল দিতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে স্থানীয় উদ্ধার কর্মীরা। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সহায়তায় উদ্ধারকর্মী পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরান। দেশটির সরকার জানিয়েছে, তারা উদ্ধারকর্মী পাঠাতে প্রস্তুত।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের প্রশাসনের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেছেন, ‘আমরা ইরানিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল মোকাবিলায় সহায়তার জন্য দ্রুত উদ্ধারকর্মী দল পাঠাতে প্রস্তুত আছি।’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তেহরান টাইমস।
মূলত গত মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। লস অ্যাঞ্জেলেসে ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে ‘সান্তা অ্যানা’ নামের ঝোড়ো বাতাস। গত শুক্রবার রাত থেকে এই বাতাস অনেকটা কমে এসেছে। তবে শহরের পশ্চিমে জ্বলতে থাকা ‘প্যালেসেইডস’ নামের দাবানলটি নতুন দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা এরিক স্কট স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল কেটিএলএকে বলেছেন, প্যালেসেইডস দাবানলটির আগের অংশে আগুন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটি দিক পরিবর্তন করে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই দাবানল সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার আগুন নেভাতে এগিয়ে এসেছে প্রতিবেশী সাতটি অঙ্গরাজ্য। কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কানাডা থেকেও এসেছে সহায়তা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক