ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন অভিবাসনবিরোধী নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ভেনেজুয়েলাসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা আতঙ্কগ্রস্ত। তারা দাবি করছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপগুলি তাদের জীবনকে অচেনা করে তুলছে এবং তারা নিজেদেরকে অনিরাপদ বোধ করছেন।
ভেনেজুয়েলার নাগরিক জসনেক্সি মার্তিনেজ। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সীমান্তবর্তী শহর এল পাসোর একটি অভিবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে থাকেন তিনি। বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তিনি যুক্তরাষ্ট্র ঢুকেছেন। তবে এরপরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী আদেশকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের মধ্যে আছেন মার্তিনেজ।
গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনব্যবস্থায় সংস্কার আনতে বেশ কিছু নির্বাহী পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন এবং ওই এলাকায় আরও সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বিদেশি অপরাধীদের বিতাড়িত করার অঙ্গীকার করেছেন, যা অনেকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
সিবিপি ওয়ান অ্যাপের মাধ্যমে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীদের জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করেন কারিনা ব্রেসেডা। তিনি বলেন, ট্রাম্পের নতুন নীতির কারণে এই অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অভিবাসীরা আরো বেশি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে আতঙ্ক: ভেনেজুয়েলার নাগরিক জসনেক্সি মার্তিনেজ বলেন, তিনি এবং তার পাঁচ বছরের সন্তান যেকোনো সময় গ্রেফতার হতে পারে। অন্যদিকে, মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ মিরনা সেব্রাল জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের হুমকিতে আতঙ্কিত। তিনি বলেন, "এটা একেবারেই পাগলামি। এটা আমাদের সংবিধানবিরোধী।"
মেক্সিকোর নাগরিক হেক্টর শ্যাভেজ মনে করেন, অভিবাসীদের সীমান্তের অপর পাশে থাকা উচিত। তিনি বলেন, "আমেরিকান স্বপ্ন শেষ।"
এল পাসো শহরের বাসিন্দারা ট্রাম্পের এই নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারা মনে করেন, এই নীতিগুলি মানবিক নয় এবং এটি সমাজকে বিভক্ত করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আইনবিদরা বলছেন, ট্রাম্পের এই নীতিগুলি আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক