সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান মঙ্গলবার আঙ্কারায় একটি যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে মধ্য সিরিয়ায় তুর্কি বিমান ঘাঁটি স্থাপন এবং সিরিয়ার নতুন সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ।
ন্যাটো সদস্য তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাচ্যুত নেতা বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে সিরিয়ার সশস্ত্র ও রাজনৈতিক বিরোধিতাকে সমর্থন করে আসছে। বাশার গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে শারা বাহিনীর নেতৃত্বে আচমকা আক্রমণে ক্ষমতাচ্যুত হন।
নতুন সিরিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য আঙ্কারা নিজেকে প্রস্তুত করছে। আসাদের প্রধান আঞ্চলিক সমর্থক ইরানের শূন্যস্থান পূরণ করে, তুরস্কের প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করতে পারে এবং ইসরায়েলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
একজন সিরিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তা, দামেস্ক-ভিত্তিক দুই বিদেশি নিরাপত্তা সূত্র এবং একজন ঊর্ধ্বতন আঞ্চলিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। কারণ তারা বৈঠক সম্পর্কে মিডিয়ার সাথে কথা বলার জন্য অনুমোদিত ছিলেন না।
এই প্রথমবারের মতো সিরিয়ার নতুন নেতাদের কৌশলগত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপাদানগুলি, অতিরিক্ত তুর্কি ঘাঁটির বিবরণ সহ, প্রকাশ পেয়েছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, চুক্তির মাধ্যমে তুরস্ক সিরিয়ায় নতুন বিমান ঘাঁটি স্থাপন করতে পারবে, সামরিক উদ্দেশ্যে সিরিয়ার আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে এবং সিরিয়ার নতুন সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে পারবে।
সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব সেনাবাহিনী এবং এর বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে বিলুপ্ত করে দিয়েছে। তাদের একটি নতুন সামরিক কমান্ডে একীভূত করার জন্য কাজ করছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে যে মঙ্গলবার চুক্তিটি চূড়ান্ত হওয়ার আশা করা হচ্ছে না।
সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল