হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রথম দফা চলছে। তবুও ফিলিস্তিনের পশ্চিম ভূখণ্ড এবং পূর্ব জেরুজালেম-সহ একাধিক জায়গায় ফিলিস্তিনের বাসিন্দাদের ওপরে বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইসরায়েল। বাদ যাচ্ছে না শরণার্থী শিবিরগুলিও।
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত অন্তত আটশ' ফিলিস্তিনি। গাজার মতোই এ ক্ষেত্রেও নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। নষ্ট করা হচ্ছে চাষের জমি, জলপাই গাছের ক্ষেত। সোমবারও পশ্চিম ভূখণ্ড এবং পূর্ব জেরুজালেমের একাধিক জায়গা হামলার জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলের এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা করেছে আন্তর্জাতিক মহল।
গাজা এবং ইসরায়েল নিয়ে অবস্থানের জন্য তীব্র নিন্দার মুখে পড়তে হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও। সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছিলেন, গাজাবাসীসহ প্রায় ১৫ লক্ষ ঘরহারা ফিলিস্তিনিকে যেন আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করে মিশর ও জর্ডান। তখনই প্রশ্ন ওঠে, গাজাকে পুরোপুরি ফিলিস্তিনি-মুক্ত করতেই কি এমন বার্তা ট্রাম্পের?
ট্রাম্পের ওই বার্তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মিশর ও জর্ডান। ফিলিস্তিনিরা নিজেদের দেশ ছেড়ে অন্যত্র যেতে বলার অর্থ একটা গোটা জাতিকে নিঃশেষ করে দেওয়া। যা কিছুতেই জর্ডান-মিশর চায় না। সোমবার ইরানও ট্রাম্পের এই বার্তার সমালোচনা করেছে।
এরই মধ্যে রবিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আমেরিকা যাওয়ার আগে নেতানিয়াহু বলেছেন ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে পশ্চিম এশিয়ার চিত্র বদলে দিয়েছে। শক্তির সাহায্যেই আমরা পারব আমাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা, শান্তির পরিস্থিতিকে আরও জোরালো করে তুলতে।’
হামাসের বিরুদ্ধে কী ভাবে ‘জয় লাভ’ করা যায়, তা-ও থাকবে নেতানিয়াহু-ট্রাম্পের আলোচনার মধ্যে। নানা মহলে মনে করা হচ্ছে, ইসরায়েল-হামাসের সংঘর্ষ বিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আগে এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল