ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের সাথে আলোচনার আহ্বান বিশ্ব জনমতকে প্রতারিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
খামেনি বলেছেন, ইরানকে যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ হিসেবে দেখাতে চায় যে তারা আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি নয়।
খামেনি বলেছেন, আমরা বছরের পর বছর ধরে বসে আলোচনা করেছি। এই একই ব্যক্তি ( ডোনাল্ড ট্রাম্প) টেবিল থেকে তা ছুড়ে ফেলেছে। স্বাক্ষরিত আলোচনা ছুঁড়ে ফেলেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেন, যখন আমরা জানি যে তিনি (ট্রাম্প) চুক্তিটিকে সম্মান করেন না, তখন আলোচনার অর্থ কী? অতএব, আলোচনার আহ্বান এবং আলোচনার আলোচনা বিশ্ব জনমতকে প্রতারিত করার জন্য।
খামেনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা অপসারণের ইচ্ছা পোষণ করে না এবং আলোচনা কেবল চাপ প্রচারণাকে আরও খারাপ করবে কারণ ওয়াশিংটন নতুন দাবি উত্থাপন করবে।
খামেনির ভাষায়, এই মার্কিন প্রশাসনের সাথে আলোচনা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে না। এটি নিষেধাজ্ঞাগুলিকে আরও কঠোর করবে এবং চাপ বৃদ্ধি করবে।
তিনি বলেছেন, যুদ্ধের ক্ষেত্রে আমেরিকা আরও বেশি হারবে।
তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে পশ্চিমাদের অভিযোগের জবাবে খামেনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না। তিনি আরও বলেন, তারা যদি ইচ্ছা করত তাহলে এখনই তা করতে পারত।
খামেনি বলেছেন, বলা হয় যে আমরা (পশ্চিমারা) ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেব না। আমরা যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাইতাম, তাহলে আমেরিকা আমাদের থামাতে পারত না। আমাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই এবং আমরা তা করার চেষ্টা করছি না কারণ আমরা নিজেরাই নির্দিষ্ট কারণে সেগুলি চাই না।
ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের মার্কিন হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। তিনি জানিয়েছেন, ইরান একটি চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত। এই ধরনের সংঘর্ষে যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
খামেনি বলেছেন, আমার মতে এই হুমকি অযৌক্তিক কারণ যুদ্ধ বা সামরিক আগ্রাসন একতরফা বিষয় নয়। ইরানের প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এবং প্রয়োজনে এটি অবশ্যই পাল্টা আক্রমণ করবে। আমি এমনকি বিশ্বাস করি যে আমেরিকানরা বা তাদের এজেন্টরা যদি ভুল পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তারা অন্য যে কারও চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
সূত্র: প্রেস টিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল