যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য দূত টম ব্যারাকের প্রস্তাবিত ‘লেবানন রোডম্যাপ’ ঘিরে নতুন উত্তেজনা শুরু হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, হিজবুল্লাহকে চার মাসের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্র হতে হবে। যার বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের সামরিক আক্রমণ বন্ধ করে দক্ষিণ লেবাননের দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেবে।
তবে হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাইম কাসেম চলতি মাসের শুরুতে এক ভাষণে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আমরা এমন একটি জাতি, যারা আত্মসমর্পণ করে না। তিনি বলেন, অস্ত্র নিয়ে আলোচনা হতে পারে তবে তা শুধু জাতীয় সংলাপের প্রেক্ষিতে, কোনো বিদেশি চাপের মুখে নয়।
হিজবুল্লাহ ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ব্যারাকের প্রস্তাবকে তারা ‘সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণের দলিল’ হিসেবে দেখছে। সংগঠনটি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই প্রস্তাবকে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে মেনে নিচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে হিজবুল্লাহর অস্ত্রভাণ্ডারের ছবি, নথিভুক্ত হিসাব এবং জাতীয় স্বীকৃতি চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, লেবাননের দাবি ইসরায়েলের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের সক্রিয়তা এবং জাতিসংঘ বাহিনী ইউনিফিলের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, হিজবুল্লাহ কিছু অস্ত্র লেবানন সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করলেও ইসরায়েল অভিযোগ করেছে সংগঠনটি আবারও দক্ষিণে শক্তি সঞ্চয় করছে। এক পর্যবেক্ষণ মিশনের সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনী একটি রকেট লঞ্চার জব্দ করলেও তা ধ্বংস করেনি—যা নিয়েই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ার সাম্প্রতিক সহিংসতা ও ইসরায়েলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে হিজবুল্লাহর অস্ত্র ধরে রাখার যুক্তি দেশীয় কিছু অংশে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় দেশগুলো স্পষ্ট করে দিয়েছে, হিজবুল্লাহ নিরস্ত্র না হলে লেবাননের পুনর্গঠনে তারা সহায়তা করবে না।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল