সম্প্রতি সংঘর্ষ বন্ধে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হলেও কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে থাইল্যান্ড। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের সিসাকেত প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় কম্বোডিয়ান সেনারা গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।
থাই সরকার এটিকে ‘যুদ্ধবিরতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে। তবে কম্বোডিয়া এর আগেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই দুই দেশের মধ্যকার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে পাঁচদিনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছে। থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের ১৫ জন সেনা ও ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া জানিয়েছে ৮ জন বেসামরিক ও ৫ জন সেনা নিহত হয়েছে।
সংঘর্ষের পেছনে মূল কারণ সীমান্তের কিছু ধর্মীয় স্থাপনাকে ঘিরে দীর্ঘদিনের বিরোধ। ১৯০৭ সালে ফরাসি শাসনামলে তৈরি অস্পষ্ট সীমান্তরেখা নিয়ে দুই দেশেই দাবি রয়েছে।
মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও রাতের প্রথম দিকে থাইল্যান্ড অভিযোগ করে, কম্বোডিয়া আবার হামলা চালিয়েছে। যদিও বুধবার সকাল ৮টা থেকে সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ।
চুক্তির আওতায় সীমান্তে দুই দেশের কমান্ডারদের মধ্যে বৈঠক হয় এবং নতুন করে সেনা মোতায়েন না করার বিষয়ে একমত হয়। তবে থাইল্যান্ড সতর্ক করে বলেছে, যুদ্ধবিরতির শুরুর সময়টি এখনো খুবই ‘অস্থির’ ও ‘সংবেদনশীল’।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। দুই দেশই ট্রাম্পের প্রস্তাবিত উচ্চ হারে শুল্ক এড়াতে তার সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তিতে আগ্রহী।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল