নেপালে দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তরুণদের আন্দোলন রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায়। সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন, আর দেশজুড়ে একাধিক এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।
নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবারেও (৯ সেপ্টেম্বর) রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন নেপালের তরুণরা। সকাল থেকেই দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের সামনে তরুণরা জড়ো হচ্ছেন।
কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপালে তরুণদের আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানী কাঠমান্ডু এবং বিভিন্ন জেলায় মঙ্গলবার (রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে জেন জি বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা বাড়ি-ঘরে আগুন দেয় এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এদিকে, অভূতপূর্ব ও গুরুতর পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (টিআইএ) সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত নেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দ্য হিমায়ল টাইমস।
বিমানবন্দর এলাকা কোটেশ্বরের কাছে ধোঁয়ার কুণ্ডলীর কারণে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। টিআইএ-র জেনারেল ম্যানেজার হংস রাজ পান্ডে বলেন, ‘বিমানবন্দর বন্ধ নেই। আমরাও এটি বন্ধ করব না।’
দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, চলাচলে সমস্যার কারণে ক্রু সদস্যরা বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারছেন না, যার ফলে বিমানগুলো উড়তে পারছে না। বুদ্ধ এয়ারসহ অভ্যন্তরীণ বিমান সংস্থাগুলো নিরাপত্তাজনিত কারণে সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ