শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

অধূমপায়ীরাও কেন আক্রান্ত

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালিত

পুরুষদের যত রকমের ক্যান্সারের কথা শোনা যায় তার মধ্যে বেশি শোনা যায় ফুসফুসে ক্যান্সারের কথা। এর জন্য ধূমপানকেই সবাই দায়ী করেন। সুতরাং ফুসফুস রক্ষা করার জন্য সিগারেট না খাওয়াই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু প্রায়ই দেখা যাচ্ছে যিনি সিগারেট খান না বা ধূমপান করেন না তিনিও ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্তান্ত হচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হুর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধূমপান না করা মানুষের ফুসফুসের ক্যান্সারের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই সংখ্যা মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরের কোষের নিয়ন্ত্রণ যখন আয়ত্তের বাইরে চলে যায় তখন ক্যান্সার হয়। প্রচুর সিগারেট ফুসফুসের ক্ষতি করে এবং মানুষ সহজেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। ধূমপায়ীদের ক্যান্সার হওয়া ও যারা ধূমপান করে না তাঁদের ক্যান্সার হওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষগুলোর জিনে এই পার্থক্য ঘটে। সাধারণত ইজিএফআর জিনের পরিবর্তনের কারণে যারা ধূমপান করে না তাঁদের ক্যান্সার হয়। হু বলছে, ধূমপান ছাড়াও আরও অনেক কারণ রয়েছে যা ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ হয়ে থাকে। সেই কারণগুলো জানা যাক। পরোক্ষ ধূমপান : এতে ব্যক্তি সরাসরি ধূমপান করে না, তবে অন্য ব্যক্তির সিগারেট থেকে বের হওয়া ধোঁয়া তাঁর শরীরে প্রবেশ করে। এটা লাগাতার হতে থাকলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি ২৪ শতাংশ বেড়ে যায়। অ্যাসবেস্টস : কোনোভাবে যদি এর মাইক্রোস্কোপিক টুকরা বাতাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে তবে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা অ্যাসবেস্টস নির্মাণ শিল্পে যুক্ত তাঁদের এই সম্ভাবনা বেশি।

কয়লার রান্না : ঘরের ভিতরে কয়লার রান্নার সময় অনেক রাসায়নিক বের হয় যা ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি মহিলাদের ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি  বাড়িয়ে তোলে। বায়ু দূষণ : যানবাহন, শিল্প, বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বায়ু দূষণ ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি  বাড়ায়। বায়ু দূষণের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঘটনা বাড়ছে এবং এ কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি প্যাসিভ ধূমপানের মতোই প্রভাব ফেলছে।

সর্বশেষ খবর