সামনেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে রাজ্যটির হুগলি জেলার ডানলপে একটি জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করলেন ‘রাজ্যবাসী স্থির করে ফেলেছেন যে, তারা এবার পরিবর্তন আনবেন।’ মোদি বলেন, ‘এই দেবত্ব ভূমিতে এসে আপনাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা আর আনন্দ দেখে মনে হচ্ছে কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত একটাই বড় বার্তা দিচ্ছে- তা হলো এবার পশ্চিমবঙ্গের মানুষ স্থির করেই ফেলেছেন যে, তারা পরিবর্তন আনবেন। আর এই পরিবর্তন আনবে পদ্মফুল।’ রামকৃষ্ণ পরমহংস, ঋষি অরবিন্দ, রাসবিহারী বোস, বিপীন বিহারী গাঙ্গুলীর মতো মনীষীদের জন্মস্থান এই বাংলার উন্নয়নে বিগত কোনো সরকারই উদ্যোগ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে বন্দে মাতরম ভবন থেকে কবি বঙ্কিমচন্দ্র চ্যাটার্জি ‘বন্দে মাতরম’ গানের রচনা করেছিলেন- সেই ভবন আজ বড়ই রুগ্ন। অথচ এই ‘বন্দে মাতরম’ গানের মধ্য দিয়ে দেশের বিপ্লবীরা প্রেরণা পেয়েছিলেন, দেশবাসী নতুন করে জেগে উঠেছিলেন। এই অমর গানের স্রষ্টার স্থানকে ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করাটা বাংলার গৌরবের সঙ্গে খুব বড় অন্যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ বাংলার মানুষকে এই আশ্বাস দিতে চাই, বাংলায় বিজেপির সরকার গঠন হলে প্রতিটি রাজ্যবাসী তাদের সংস্কৃতি উদযাপন করতে পারবেন।’ মমতা ব্যানার্জির সরকারের বিরুদ্ধে ‘সিন্ডিকেট’-এর অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি চলতে থাকলে বাংলার অগ্রগতি সম্ভব নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘মা-মাটি-মানুষের সরকার বাংলার মানুষের উন্নয়নের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্র সরকার কৃষক ও গরিবদের উন্নয়নের অর্থ সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে জমা করে কিন্তু রাজ্য সরকার চাঁদাবাজদের অনুমতি ছাড়া গরিবদের কাছে পৌঁছয় না। তৃণমূল নেতাদের অর্থ-প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছে। অথচ সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ আরও গরিব হয়ে যাচ্ছেন।