দুই একটি ছোটখাটো বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়াই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই দফায় ১৭ এপ্রিল রাজ্যটির জলপাইগুড়ি, দার্র্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদীয়া ও পূর্ব বর্ধমান জেলার ৪৫টি আসনে ভোট নেওয়া হয়। সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়।
এই দফায় মোট ভোটার ছিল ১,১৩,৭৩,৩০৭ জন। প্রার্থী ছিলেন ৩১৯ জন। যেসব হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভাগ্য বাক্সবন্দি হয় তাদের মধ্যে অন্যতম রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের প্রার্থী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী তাপস রায়, মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী গৌতম দেব, তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেতা দীপক (চিরঞ্জিত) চক্রবর্তী, তৃণমূলের প্রার্থী গায়িকা অদিতি মুন্সি, রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী সিপিআইএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য, বিজেপির প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য, রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী মদন মিত্র, বিজেপির প্রার্থী অভিনেত্রী পার্নো মিত্র, বিজেপির আরেক অভিনেত্রী প্রার্থী রাজশ্রী রাজবংশী, কংগ্রেস প্রার্থী সুখবিলাস বার্মা প্রমুখ।
এদিন ভোট শুরুর কিছু পরেই নদীয়া জেলার গয়েশপুরের বকুলতলায় বোমাবাজি, বিজেপি বুথ সভাপতিকে মারধরের পাশাপাশি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজিত হয়ে ওঠে এলাকা। এই ঘটনায় দুই বিজেপি কর্মী আহত হয় বলে খবর। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয় ওই জেলারই চাকদহে অস্ত্রসহ আটক হন স্বতন্ত্র দলের এক প্রার্থী। কৌশিক ভৌমিক নামে ওই প্রার্থী নিজের পরনের পাঞ্জাবির তলা থেকে ওই অস্ত্রটি বের করে ভয় দেখাতে থাকেন বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশ তাকে আটক করে। এই ঘটনায় বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। নদীয়ার শান্তিপুরের মৌচাক কলোনিতে রাজা দেবনাথ নামে এক বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে। -কলকাতা প্রতিনিধি