ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে কে বসবেন? সেই নিয়ে ভোটাভুটি, লড়াই চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। অনেক প্রার্থীর মধ্যে ভোটাভুটি করে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন ঋষি সুনাক এবং লিজ ট্রাস। আগামী দিনে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটেই ঠিক হবে, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের মসনদে কে বসবেন। ভোটের শুরুতে বেশ এগিয়ে ছিলেন ভারতীয় বংশো™ভূত ব্রিটিশ রাজনীতিক ঋষি সুনাক। তবে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত ওই পদে বসছেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। কিছুদিন আগেই নিজেকে আন্ডারডগ বলে দাবি করেছিলেন ঋষি। তারপরে আবারও প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে পিছিয়ে পড়া নিয়ে এবার মন্তব্য করলেন তিনি সম্ভবত নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েছেন। বলেছেন, জনপ্রিয়তার দিক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাসের থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ঋষির অর্থনৈতিক মতবাদের ফলেই ক্রমে সাধারণ মানুষের আস্থা হারাচ্ছেন তিনি। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাস। প্রচারের সময় তিনি বারবার বলেছেন, এখনই সাধারণ মানুষের ওপর থেকে করের বোঝা কমিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। তিনি জানিয়েছেন, এমন সিদ্ধান্ত নিতে খুবই খারাপ লাগছে। কিন্তু সততার সঙ্গে কাজ করতে গেলে কর কমানো যাবে না।
অন্যদিকে, লিজ ট্রাস জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে প্রথমেই কর কমানোর ব্যবস্থা করবেন তিনি। ট্রাসের মতে, ব্রিটেনের করগ্রহণ পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন করা প্রয়োজন। সেদেশের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালাস প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পদে ট্রাসকেই সমর্থন করছেন তিনি। মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে বরিস জনসনের পতন নিশ্চিত করেছিলেন ঋষি। সেই কারণেই সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছেন ঋষি, এমনটাই মত বেনের।