মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

জাপানের সমাজব্যবস্থা অচলের দ্বারপ্রান্তে

-প্রধানমন্ত্রী

জাপানের সমাজব্যবস্থা অচলের দ্বারপ্রান্তে

জাপানে জন্মহার ক্রামগত হ্রাস পাচ্ছে। এখনই যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে দেশটির সমাজব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। বর্তমানে জাপানে মোট জনসংখ্যা সাড়ে ১২ কোটির মতো। গত বছর সেখানে ৮ লাখের কম শিশুর জন্ম হয়েছে। অথচ ’৭০-এর দশকেও দেশটিতে বছরে ২০ লাখের বেশি শিশুর জন্ম হতো।  বিষয়টি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে দেশটির সরকারকে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, এখনই যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে দেশটির সমাজব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন । এ অবস্থায় তিনি গতকাল দেশটির ক্রম হ্রাসমান জন্মহার মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, জাপানে জন্মহার বৃদ্ধির জন্য এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার উপযুক্ত সময়।

এখন ব্যবস্থা না নিলে দেরি হয়ে যাবে। তাই অপেক্ষা করার সময় নেই। ইতোমধ্যে জাপান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী জনসংখ্যার দেশ হয়ে গেছে।

বস্তুত জনসংখ্যা হ্রাস জাপানের জন্য গত কয়েক দশক ধরে এটি বিশেষ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। দেশটিতে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। কমেছে জন্মহার। ফলে সমাজে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু তাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য তরুণ কর্মীর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ৬৫ বা তার বেশি বয়সের জনসংখ্যার দিক দিয়ে জাপান এখন বিশ্বে দুই নম্বরে রয়েছে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের ওপরে। জাপানের থেকে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছে মোনাকো।

গতকাল বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টে বক্তৃতা দেন কিশিদা। তিনি বলেন, ‘একটি সমাজ হিসেবে আমরা চলতে পারব কি না তা নির্ধারিত হয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে জাপান।’

এ জন্য তিনি শিশু বিষয়ক প্রকল্পগুলোতে সরকারি ব্যয় দ্বিগুণ করতে চান বলেও জানান। এপ্রিলের মধ্যে তিনি নতুন একটি সরকারি সংস্থা গঠন করতে চলেছেন, যারা এ বিষয় নিয়ে কাজ করবেন।

সর্বশেষ খবর