শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

এখনো হচ্ছে জীবিত উদ্ধার প্রাণহানি ছাড়াল ৩৮ হাজার

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের আট দিন পরও ধ্বংসস্তূপে মিলছে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়ারা। যদিও আর ‘কারও বেঁচে থাকার’ সম্ভাবনা নেই মনে করে উদ্ধারকারীদের অভিযান অনেকটাই সীমিত হয়ে এসেছে। এ পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্তত ৩৮ হাজার মানুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য রাতভর কাজ করছেন। তুরস্কের আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানার পর আট দিন ধরে চলছে উদ্ধার কার্যক্রম। তবে আর খুব বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তুরস্কে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে এবং সিরিয়ায় ছাড়িয়েছে ৬ হাজার। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজারের বেশি। উদ্ধারকর্মীরা জানান, তাপমাত্রা অনেক কমে গেছে এবং কাউকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে গেছে। সিরিয়ার বিধ্বস্ত শহর আলেপ্পোয় অবস্থানরত জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস জানান, উদ্ধার কার্যক্রম শেষের পথে। এখন আশ্রয়, খাদ্য ও শিক্ষার মতো বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে হবে।

 তুরস্কের গণমাধ্যম জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা এখনো কাহরামানমারাস প্রদেশ, আদিয়ামান ও হাতায় অঞ্চল থেকে মানুষদের উদ্ধার করার আশা অব্যাহত রেখেছেন। এসব জায়গায় মানুষ বেঁচে থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে দক্ষিণের শহর আনতাকিয়াতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো ভারী যন্ত্র ব্যবহার করে ভেঙে ফেলা হচ্ছে এবং আবর্জনা সরানো হচ্ছে। এখান থেকে আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা দেখছেন না উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধারকাজ চলার সময় মাঝে মাঝে কর্মীরা নীরব থেকে আবর্জনা ও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আসা ক্ষীণ শব্দ শুনে জীবিতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন।

আরেক খবর অনুযায়ী, তুরস্কের ভূমিকম্পবিধ্বস্ত একটি এলাকার ধ্বংসস্তূপ থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে ৭৭ বছর বয়সী এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ২১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া নারীর নাম ফাতমা গুঙ্গর। তাঁকে তুরস্কের আদিয়ামান শহরের একটি সাততলা অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়।  ফাতমাকে উদ্ধারের পর তাঁর স্বজনরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা উদ্ধারকারী দলকে জড়িয়ে ধরেন।

এ ছাড়া তুরস্কের বিভিন্ন এলাকার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও নয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটি জানায়, ভূমিকম্পের প্রায় ২০৯ ঘণ্টা পর দেশটির হাতায়ে এলাকার ধ্বংসস্তূপ থেকে এক বাবা ও তাঁর মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভূমিকম্পের ২০৭ ঘণ্টা পর তুরস্কের আদিয়ামানের ধ্বংসস্তূপ থেকে রমাজান ইউসেল (৪৫) নামের একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এর আগে ভূমিকম্পের প্রায় ২০০ ঘণ্টা পর তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই ভাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় আনাদোলু নিউজ এজেন্সি জানায়, এ দুই ভাইয়ের নাম মুহাম্মদ এনেস ইয়েনিনার (১৭) ও বাকি ইয়েনিনার (২১)। তারও আগে ভূমিকম্পের প্রায় ১৯৮ ঘণ্টা পর তুরস্কের আদিয়ামানের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে মোহাম্মদ ক্যাফার নামের ১৮ বছর বয়সী এক যুবককে উদ্ধার করা হয়।

সর্বশেষ খবর