বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাশিয়ার হামলা রুখতে দ্রুত সহায়তা চায় ইউক্রেন

ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার বর্ষপূর্তির আর সপ্তাহ খানেক বাকি। এই সময় যত এগিয়ে আসছে, ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে রুশ হামলা ততই বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে বাখমুত শহর দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে পুতিনের বাহিনী। ভুলেদার শহরেও রাশিয়ার বিশাল ক্ষতির দাবি করেছে ইউক্রেনের বাহিনী। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে আরও দ্রুত সামরিক সহায়তার জন্য আবেদন করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দোনেৎস্ক অঞ্চলে মূলত রাশিয়া ভারাটে বাহিনী দিয়ে যুদ্ধ চালাচ্ছে।

ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেন, ইউক্রেনের জোরালো প্রতিরোধের কারণে বাখমুত দখল করা কঠিন হয়ে উঠছে। বর্তমান সামরিক তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে আরও বড় ধরনের রুশ সামরিক অভিযানের আশঙ্কা করছে ইউক্রেনের প্রশাসন। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে আরও দ্রুত সামরিক সহায়তা চাচ্ছেন জেলেনস্কি। তার মতে, ইউক্রেনে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধির আগেই রাশিয়া যতটা সম্ভব জায়গা দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতের ভাষণে তিনি তাই দ্রুত সাহায্যের আবেদন করেন। জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাসেলসে ন্যাটো প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব সে দেশকে যত দ্রুত সম্ভব আরও অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের চেষ্টা করছে। ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, পুতিন আরও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ইরানের অস্ত্র পাঠানোর উপায় খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র : যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানি অস্ত্র পাঠাতে চায় ইউক্রেনে। এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে ইরানের মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধেই। যদিও বিষয়টি ইরানের সম্মতিতে হচ্ছে না। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতির জন্য পাঠানো যেসব ইরানি অস্ত্র পশ্চিমাদের হাতে জব্দ হয়েছে, সেগুলোই এবার ইউক্রেনকে দিতে চায় তারা। এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে একটি ‘বৈধ পদ্ধতি’ খুঁজছে জো বাইডেন প্রশাসন। মঙ্গলবার এক রিপোর্টে এ খবর দিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

একাধিক মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, জাতিসংঘের নিয়ম-নীতির মধ্যে কোনো ফাঁক আছে কিনা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন। সেই আইনের ফাঁককে ব্যবহার করে ইরানি রাইফেল, রকেট এবং গোলা ইউক্রেনে পাঠাতে চায় দেশটি। প্রায়ই ইরান থেকে ইয়েমেনে যাওয়ার পথে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র জব্দ হয় পশ্চিমাদের হাতে। এসব অস্ত্র পাঠানো হয় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কাছে। তার যে অংশটি পশ্চিমারা সমুদ্রের মাঝ থেকে জব্দ করতে সক্ষম হয়, তাই এখন কিয়েভকে দেওয়া হবে। এটি শুধু ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্যই নয় বরঞ্চ তারা ইরানকে এক ধরনের প্রতীকী শাস্তি দিতে চায়।

সর্বশেষ খবর