মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রাপথ, তবু ইতালি পানে অভিবাসনপ্রত্যাশীর ঢল

♦ সাগরে ডুবে রবিবার ৫৯ অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছে, ৮০ জন প্রাণে রক্ষা পেয়েছে ♦ চলতি বছর ১৩ হাজার ৬৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে পৌঁছেছে

ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রাপথ, তবু ইতালি পানে অভিবাসনপ্রত্যাশীর ঢল

ইতালির দক্ষিণ উপকূলের কাছে উত্তাল সাগরে একটি নৌকা ডুবে গেলে কমপক্ষে ৫৯ অভিবাসী মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে। আরও অনেক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নৌকাটির অনেক যাত্রী অবশ্য প্রাণে বেঁচে গেছে। ইতালির উপকূল রক্ষীবাহিনী জানিয়েছে, প্রায় ৮০ জন প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।

জানা গেছে, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রীভর্তি নৌকাটি ইতালির ক্যালাব্রিয়া উপকূলের কাছে ডুবে যায়। প্রায় ১৫০ অভিবাসী নিয়ে ক্রোটন শহরের কাছে তীরে ভেড়ার চেষ্টার সময় পাথরে ধাক্কা খেয়ে নৌকাটি দুভাগ হয়ে যায়। এ ঘটনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সাগরপথে হাজারো মানুষের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছানোর বিপজ্জনক যাত্রার প্রবণতা। বেশিরভাগ অভিবাসনপ্রত্যাশীই উত্তর আফ্রিকা থেকে যাত্রা করে। তবে কিছু কিছু মানুষ তুরস্ক থেকে ইতালিতে পাড়ি জমায়। ইতালি সরকার ধারাবাহিকভাবে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করে আসছে। তারপরও ইতালিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল বেড়েই চলেছে।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নৌকায় করে ১৩ হাজার ৬৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে পৌঁছেছে। ২০২২ সালের একই সময়ে যে সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২৭৩। আর তার আগের বছরে এ সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ১৫৬। এ বছর নিবন্ধিত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৮৬১ জনই অভিভাবকহীন শিশু।

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) বলেছে, ২০২২ সালে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছানো ৫১ শতাংশ অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছিল লিবিয়া থেকে। ৩১ শতাংশ এসেছিল তিউনিসিয়া থেকে এবং ১৫ শতাংশ এসেছিল তুরস্ক থেকে। আরও অল্পকিছু অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছিল লেবানন, আলজেরিয়া এবং সিরিয়া থেকে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার নিখোঁজ অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রকল্প সেই ২০১৪ সাল থেকে মধ্য ভূমধ্যসাগরে ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু এবং নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার নিবন্ধন তালিকা রেখেছে।

সর্বশেষ খবর