টানা সাত সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণের পর প্রথম বিরতিতে স্বস্তি মিলেছে ফিলিস্তিনিদের। কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে গতকাল। এরপরই গাজায় অনেক মানুষ প্রাণখুলে রাস্তায় বেরিয়েছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম চ্যানেল ১৩-এর সাংবাদিক আলমগ বোকার অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে তাদের হামলায় উত্তর গাজা উপত্যকায় কয়েকটি ভবন ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ভিডিওটিতে দূর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের উল্লাস করতে দেখা যায়। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজউম জানান, বিরতিটি ফিলিস্তিনিদের জন্য দারুণ স্বস্তির বিষয়। তারা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ থেকে নিরাপদ থাকতে পেরে আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রথমবারের মতো আমরা ইসরায়েলি ড্রোনের শব্দ শুনতে পাইনি। মানুষ আশা করে এ স্বল্পমেয়াদি বিরতি দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি করবে।’
এদিকে চুক্তির অধীনে গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সহায়তা ব্যাপকভাবে প্রবেশ করছে। মিসর বলেছে এ চার দিনে গাজায় প্রতিদিন ১ লাখ ৩০ হাজার লিটার ডিজেল ও চার ট্রাক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। সামগ্রিকভাবে প্রতিদিন ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ২০০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে।
যুদ্ধবিরতি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি কোনো কিছু অবশিষ্ট আছে কি না তা দেখার জন্য তাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ির দিকে ছুটে যেতে শুরু করেন। এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি বাড়ি যেতে চাই এবং এটি ধ্বংস হয়ে গেলেও আমি সেখানে থাকতে চাই। আমি সেখানে মরতে চাই।’ এক নারী বলেন, আমি প্রার্থনা করি এ দিনগুলো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে উঠুক।