রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাঁচার জন্য পশুখাদ্যও খাচ্ছে গাজাবাসী

বাঁচার জন্য পশুখাদ্যও খাচ্ছে গাজাবাসী

জীবন আর মৃত্যু এই উপত্যকায় মিলেমিশে একাকার। ওদের যেন কোথাও কেউ নেই। ওদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কথিত মানবিক বিশ্ব। মানবতার ত্রাতারা অন্ধ। দুয়ার বন্ধ করে আছেন জাতিসংঘে সভ্যতার বাণী আওড়ানো ‘দেবদূতরা’ও। বোমার পর বোমা পড়ছে। পুড়ে যাচ্ছে বাড়িঘর, ঝলসে যাচ্ছে দেহ। ঘরে খাবার নেই, তৃষ্ণায় ঠোঁট ফেটে একাকার, সুপেয় পানিও বিরল হয়ে উঠেছে। রোগের আক্রমণ আর বোমাক্রান্ত শরীরে সুস্থতা আনার মাধ্যম হাসপাতালগুলোও বন্ধ। দিনে বোমার ধোঁয়ার ঝাপসা দৃষ্টির সামনে রাত হাজির হয় নিকষ আঁধার নিয়ে। তবুও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দারা বাঁচার লড়াই করছে। আর সেই লড়াই এতটাই কঠিন যে তাকে কেবল মানবেতর বললেও ঠিকঠাক পরিস্থিতি বোঝা যাচ্ছে না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া গাজার বাসিন্দারা ভুগছেন তীব্র সংকটে। অনেকের দিনের পর দিন কাটছে কোনো রকম খাবার ছাড়াই। ইসরায়েলি সেনাদের আগ্রাসনের কারণে জাতিসংঘসহ অন্য সংস্থাগুলোও সহায়তা সামগ্রী পৌঁছে দিতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়ে গাজার বাসিন্দাদের অনেকেই পশুখাদ্য খেয়ে জীবনযাপন করছে। তবে সেই খাদ্যও খুব একটা তাদের হাতে নেই।

গাজার বাসিন্দারা একটু সুপেয় পানির আশায় মাটিও খুঁড়ছে। গোসল করার পানিটুকুও নেই তাদের কাছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার তরুণ ও শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। বিবিসি

সর্বশেষ খবর