ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদ এবং নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গের নারীরা মঙ্গলবার ‘রাত দখল’ কর্মসূচি পালন করেন। ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আগে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে কলকাতা নগরীসহ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের দখল নিতে পথে নামেন নারীরা।
গত ৯ আগস্ট কলকাতার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (আরজি কর) নারী চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়ে হয়েছে উত্তাল গোটা ভারত। প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে ডাক্তারদের মধ্যে। পথে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলো। হাত মিলিয়েছে সাধারণ মানুষও। ইতোমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন আরজি করের প্রিন্সিপাল ডা. সন্দীপ ঘোষ। কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার চলে গেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। দায়িত্ব পেয়ে তারাও তদন্তে নেমে পড়েছে।
নারীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে স্বাধীনতার মধ্যরাতে মঙ্গলবার কলকাতাসহ রাজ্যটির জেলায় জেলায় পথে নামেন নারীরা। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মেয়েদের রাত দখল’। ১৪ অগাস্ট রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে শুরু হয় এ কর্মসূচি। তবে শুধু নারীরাই নন, দলহীন এবং পতাকাহীন এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। ‘রাতের দখল নাও মেয়েরা’-এ মর্মে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় চালানো হয় জোর প্রচার। প্রথমে কলকাতার যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড, অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস ও কলেজ স্ট্রিট চত্বর-প্রথমে তিনটি জায়গায় জমায়েত করার কথা ছিল। কিন্তু এ কর্মসূচি ঘিরে সমর্থন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমায়েতের তালিকায় নতুন নতুন নাম সংযোজিত হতে থাকে। একে একে সিঁথির মোড়, গড়িয়া, পর্ণশ্রী, সল্টলেক, বেহালা, শ্যামবাজার, নাগেরবাজার, ডানলপ, বাগুইআটি, এয়ারপোর্ট ট্যাক্সিস্ট্যান্ড, নিউটাউন বিশ্ব বাংলা গেট, চুঁচুড়া, বর্ধমান, দুর্গাপুর, রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ি, মালদা, বহরমপুর, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, জলপাইগুড়ি ওই তালিকায় স্থান পায়।