দক্ষিণ গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে শুক্রবার সকালে কাজ করতে যাওয়ার সময় ডা. আলা আল-নাজ্জার বাড়িতে তার ১০ সন্তানকে রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই ওই হাসপাতালেই পৌঁছায় তার সাত সন্তানের লাশ, সবার শরীর পুড়ে অঙ্গার। এর পরের দিন শনিবার সকালে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সাত মাস ও দুই বছর বয়সি আরও দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নিহত ওই শিশুদের বয়স সাত মাস থেকে ১২ বছরের মধ্যে। ১০ সন্তানের মধ্যে মারাত্মক আহত অবস্থায় বেঁচে ছিল শুধু ১১ বছর বয়সি আদম। ডা. নাজ্জারের চিকিৎসক স্বামীও বিমান হামলায় গুরুতর আহত হন।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ব্রিটিশ সার্জন গ্রায়েমে গ্রুম বিবিসিকে বলেছেন, এটি অসহনীয় নিষ্ঠুরতা, বহু বছর ধরে শিশুদের জন্য কাজ করা একজন চিকিৎসক তার প্রায় সব সন্তান হারিয়েছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা শুক্রবার খান ইউনিসে সন্দেহভাজন কিছু জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে ৭৪ জন নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে। মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর ডা. মুনির আলবোরশ সামাজিক মাধ্যম এক্স এ জানিয়েছেন, আল-নাজ্জারের স্বামী তাকে কর্মস্থলে নামিয়ে বাসায় ফেরার পরপরই হামলাটি হয়। তাদের সবচেয়ে বড় সন্তানের বয়স ছিল ১২ বছর। শিশুদের বাবা নিজেও একজন চিকিৎসক, যিনি মারাত্মক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গ্রুম।
আরেকজন চিকিৎসক ইউসেফ আবু আল-রিশ জানিয়েছেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে। আমাদের দয়া করুন। আমরা সব দেশ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জনগণ, হামাস এবং অন্য সবাইকে অনুরোধ করছি আমাদের ক্ষমা করুন। -এএফপি