ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানিয়েছেন, তিনি রাফায় একটি তথাকথিত ‘মানবিক শহর’ নির্মাণে পরিকল্পনা নিতে বলেছেন, যেখানে ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে নেওয়া হবে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে কাৎজ বলেন, এ অঞ্চলটি প্রাথমিকভাবে প্রায় ৬ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিকে আশ্রয় দেবে, যাদের দক্ষিণ গাজার উপকূলবর্তী আলমাওয়াসি এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ব্রিফিংয়ে উপস্থিত একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ অঞ্চলে প্রবেশ করতে হলে ফিলিস্তিনিদের যাচাইবাছাইয়ের মুখোমুখি হতে হবে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তারা হামাসের সদস্য নয়। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম অনুসারে কাটজ বলেন, তাদের এ অঞ্চল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। শেষ পর্যন্ত গাজার পুরো ২০ লাখেরও বেশি জনসংখ্যা এ এলাকায় আটকে রাখা হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাব অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে অন্য দেশগুলোতে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ইসরায়েল একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ অনেক রাজনীতিক এ অভিবাসন পরিকল্পনাকে জোরালোভাবে সমর্থন করেছেন, যদিও এখন পর্যন্ত কোনো দেশই প্রকাশ্যে এতে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে এক নৈশভোজে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি-এমন দেশগুলো খুঁজে পেতে যারা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে যে তারা ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে চায় এবং আমার বিশ্বাস আমরা কয়েকটি দেশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে-কাৎজ বলেছেন, এই বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য নির্ধারিত অঞ্চলটি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নয়, পরিচালনা করবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
তবে আইডিএফ দূর থেকে এই অঞ্চলটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এই পরিকল্পনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থার অনুকরণে করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জিএইচএফ সরবরাহ কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করে, আর আইডিএফ সামরিকভাবে সেগুলোর চারপাশ ঘিরে রাখে।