ইউক্রেনে বন্দি রাশিয়ান সামরিক সদস্যদের ওপর নির্যাতন চালানোর এক অমানবিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা অপরাধের তদন্তকারী একটি আন্তর্জাতিক কমিশনের সভাপতি মাকসিম গ্রিগোরিয়েভ এ তথ্য জানান। সূত্র : রয়টার্স
বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়ায় মুক্তি পাওয়া রাশিয়ান সেনাদের বিস্তারিত সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তিনি এ কথা বলেন। ৩০ জন ব্যক্তির বক্তব্য উদ্ধৃত করে শুক্রবার তিনি একটি প্রতিবেদন পেশ করেন। গ্রিগোরিয়েভ বলেন, অভিযোগ যে পরিমাণ ব্যাপক, তা থেকে অব্যাহত নির্যাতনের একটি ইচ্ছাকৃত পদ্ধতিগত চর্চা বোঝা গেছে, যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। তিনি দাবি করেন, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য এমন আচরণ করা হয়নি। বরং প্রায়ই বিদ্বেষ থেকে রাশিয়ান বন্দিদের সঙ্গে সহিংসতার মতো অমানবিক আচরণ করা হতো। ছাড়া পাওয়া বন্দিরা ইউক্রেনের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারধর এবং বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের বর্ণনা দেন। প্রতিবেদনে ওয়াটারবোর্ডিংয়ের মতো অত্যাচার, বৈদ্যুতিক শক এবং বন্দিদের ওপর হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দেওয়াকে নির্যাতনের সাধারণ পদ্ধতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কিছু সাক্ষ্যে যৌনসহিংসতার বিবরণও ছিল। একজন সেনা অভিযোগ করেন, তাকে আটককারীরা তার যৌনক্ষমতা নষ্ট করা এবং তার মলদ্বার দিয়ে কনস্ট্রাকশন ফোম ঢুকিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছিল। অন্য একজন বলেন, বন্দিদের একে অন্যের গায়ে প্রস্রাব করতে বাধ্য করা হয়। বর্বরতার ওইসব অভিযোগকে ল্যাটিন আমেরিকা এবং অন্যান্য স্থানে ‘পশ্চিমাদের চালানো’ স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে তুলনা করেন গ্রিগোরিয়েভ। তিনি বলেন, ইউক্রেনের একটি ফ্যাসিলিটিতে একটি নির্যাতন কক্ষের ডাকনাম ছিল ‘বাগদাদ’।
এটি ইরাকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির সম্ভাব্য উল্লেখ। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ চালানোর সময় যুদ্ধবন্দিদের তথাকথিত ‘বর্ধিত জিজ্ঞাসাবাদের’ অনুমোদন দিয়েছিল।