ভারতের আসামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রুখতে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। দেখামাত্র গুলির নির্দেশ (শুট অ্যাট সাইট) দিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, যারা মন্দির অপবিত্র করেছে তারা কোনোভাবেই রেহাই পাবে না। শুধু তাই নয়, এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কেও নিশানা করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী। ৭ জুন ঈদুল আজহার উৎসব উদ্যাপনের পরই আসামের ধুবরি শহরের হনুমান মন্দিরে গোমাংস ফেলাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক অশান্তি চরম আকার নেয়। পরদিন ঠিক ওই একই জায়গায় গরুর মাথা উদ্ধার হয়। এমনকি রাতে মন্দির লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় নামে স্থানীয় জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয়। এ ঘটনায় ‘র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স’ (আরএএফ) ও ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স’ (সিআরপিএফ) মোতায়েন করা হয়। হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের তরফেও শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়। অশান্তি রুখতে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘একটি বিশেষ গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে যাদের লক্ষ্য আমাদের মন্দিরগুলো ধ্বংস করা। আমরা দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ জারি করেছি।’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবার ঈদে কিছু অসামাজিক লোকজন ধুবরির হনুমান মন্দিরে গোমাংস ফেলার মতো ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় অপরাধ করেছে। পরবর্তী ঈদে যদি প্রয়োজন পড়ে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মন্দির পাহারা দেব।’