ইরানে সরকার পরিবর্তন হবে অকল্পনীয়, অগ্রহণযোগ্য। এ ছাড়া দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যা করা প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দেওয়ার মতো হবে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। গতকাল সকালে স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পেসকভ বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েল খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করে, তবে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে খুবই নেতিবাচক।
তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করব। এটি ইরানের ভিতরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে ও দেশটিতে চরমপন্থার উত্থান ঘটাবে।’ পেসকভ আরও যোগ করেন, ‘যারা খামেনিকে হত্যার কথা বলছে তাদের মাথায় রাখা উচিত এটা কী ধরনের পরিণতি ডেকে আনতে পারে।’ তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘ইরানে সরকার পরিবর্তনের চিন্তা করা পর্যন্ত অকল্পনীয়। শুধু এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করাও অগ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত।’ এ মন্তব্যগুলো রাশিয়ার পক্ষে ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত সম্পর্কে এখন পর্যন্ত দেওয়া সবচেয়ে শক্ত প্রতিক্রিয়া বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে। সিএনএন
রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে, যেখানে ইরান রাশিয়াকে শাহিদ ড্রোন সরবরাহ করেছে।
এদিকে ইরানে হামলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই সপ্তাহ সময় নেবেন বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। লেভিট জানান, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত হবে কি না-এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ইরানের সঙ্গে নিকট ভবিষ্যতে আলোচনা হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, যা হতে পারে আবার না-ও পারে। এ ভিত্তিতে আমি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব, আমি যাব (যুদ্ধে জড়ানো) কি না।’ এর আগে মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বুধবার (১৮ জুন) প্রতিবেদনে দাবি করে, ট্রাম্প গোপনে ইরানে সামরিক হামলার পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছেন, তবে এখনো চূড়ান্ত নির্দেশনা জারি করেননি। এমনটিই জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারা।