হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠনকে ‘কঠিন কাজ’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। তিনি বলেন, গাজার জনগণের জীবনমান উন্নত করার পাশাপাশি ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
গতকাল জেরুজালেমে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভ্যান্স বলেন, আমাদের সামনে একটি অত্যন্ত কঠিন কাজ অপেক্ষা করছে, আর তা হলো হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে, আবার একই সঙ্গে গাজাকে পুনর্গঠন করতে হবে। গাজার মানুষের জীবনে উন্নতি আনতে হবে, কিন্তু পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে যেন হামাস আর কখনো ‘আমাদের বন্ধু’ ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে না দাঁড়ায়। ভ্যান্স বর্তমানে ইসরায়েল সফরে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইসরায়েলি সমর্থন জোরদার করতে। মঙ্গলবার দক্ষিণ ইসরায়েলের কিরিয়াত গাত শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভ্যান্স বলেন, গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যুদ্ধবিরতি তদারকির কাজ চলছে এবং তিনি এ যুদ্ধবিরতি টিকে থাকবে বলে অত্যন্ত আশাবাদী। তিনি জানান, হামাসের নিরস্ত্রীকরণের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করবে না ওয়াশিংটন। -এএফপি
যদিও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, যুদ্ধবিরতির সুযোগে গোষ্ঠীটি গাজায় পুনর্গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। গতকালের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, গাজার পরবর্তী দিনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা এখন একেবারে নতুন এক বাস্তবতা তৈরি করছি। একটি বেসামরিক প্রশাসন গঠন, একটি কার্যকর নিরাপত্তা কাঠামো প্রণয়ন ও সেটি কারা বজায় রাখবে, এসব নিয়েই আমরা কাজ করছি। নেতানিয়াহু আরও বলেন, এটি সহজ হবে না, কিন্তু সম্ভব। আমরা এমন এক শান্তি পরিকল্পনা ও অবকাঠামো গড়ে তুলছি, যা এক সপ্তাহ আগেও কল্পনা করা যায়নি। এতে অনেক পরিশ্রম, সৃজনশীলতা ও সমন্বয়ের প্রয়োজন হবে। ভ্যান্স বলেন, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরায়েলের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে আরও বিস্তৃত জোট গঠনের পথও খুলে দিতে পারে। ২০২০ সালে ইসরায়েল ও কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে ভ্যান্স বলেন, আমার বিশ্বাস এই গাজা চুক্তি আব্রাহাম চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।